বাবা আখের রস বিক্রি করে সংসার চালান। মা সংসারের সমস্ত কাজকর্ম করার পর বাবা কে আর্থিক সহযোগিতা করার জন্য বিড়ি বাঁধেন। ছোট্ট দু কামরার ঘর ,তাতে তাদের বসতি। কিন্তু ঘর ছোট হলে কি হবে স্বপ্ন তো আর ছোট নয়। আর সেই স্বপ্ন পূরণ করার ইচ্ছে আর মেধা টাও কিছু কম নয়। তাই সমস্ত রকম বাধা-বিপত্তি পার করে এবার জয়নগর এর মধ্যে প্রথম হয়েছে পরিতোষ পাইক।
১৫ বছর বয়সী এই ছেলেটির অভাবনীয় সাফল্যে খুশি তার পরিবারসহ শিক্ষকেরা। অত্যন্ত গরীব হওয়ার কারণে ছোটবেলা থেকেই কোন প্রাইভেট টিউটর ছিল না তার। স্কুলের পাশাপাশি স্কুল শিক্ষকদের সহযোগিতা সে পেয়েছে । দরিদ্র এই ছেলেটির মেধা দেখে স্কুলে ভর্তির ফি পর্যন্ত মকুব করে দিয়েছিলেন তার শিক্ষকেরা। জয়নগর জে এম ট্রেনিং স্কুলে প্রতি বছর প্রথম হত পরিতোষ। আজকে সে গোটা জয়নগর এর মধ্যে প্রথম।
পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর ৬৬৬। সে বাংলা পেয়েছে ৯২ আর ইংরেজিতে ৯১, ইতিহাসের ৯৭, অংকে ৯২ , ভূগোলে ৯৯, জীবন বিজ্ঞানে ৯৬ এবং ভৌত বিজ্ঞানের ৯৯।
জয়নগর-মজিলপুর এর ভাড়া বাড়িতে বাস করা পরিতোষ বড় হয়ে ডাক্তার হতে চায়। চায় গ্রামের দরিদ্র রোগী সেবা করতে। কিন্তু তার এই স্বপ্ন পূরণ করা খুব একটা সহজ নয়। তবে হ্যাঁ সরকারি সহযোগিতা পেলে তার স্বপ্ন অবশ্যই পূরণ হতে পারে। আপাতত সে জয়নগর জি এম টি স্কুলে একাদশ শ্রেণীতে বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে চায়।
No comments:
Post a comment