প্রাণী দেহের ওপর এ আঠার পরীক্ষা করা হয়েছে এবং তাতে উৎসাহব্যঞ্জক ফলাফল পাওয়া গেছে। ক্ষত স্থানে লাগানোর পর আঠাকে সক্রিয় করার জন্য অতিবেগুনী বা ইউভি রশ্মি ব্যবহার করতে হবে। তাতে ক্ষত স্থানে আঠা আটকে যাবে। সাথে সাথেই বন্ধ করে দেবে রক্তক্ষরণ । জল, জেলেটিন এবং কিছু রাসায়নিক উপাদান মিশ্রণ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এ আঠা। ভেজা কোষ কলার ওপরও এটি কার্যকর হবে। তাই ক্ষতস্থানকে সেলাই করা বা স্টেপল করে আটকে দেয়ার প্রয়োজনই পড়বে না। পরীক্ষামূলক ভাবে এ আঠা দিয়ে ৬ মিলিমিটার ক্ষত ২০ সেকেন্ডে জোড়া দেয়া সম্ভব হয়েছে।
চীনের জেইজিয়ান চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এটি তৈরি করেছেন। এর আগে চিকিৎসা কাজে ব্যবহারের জন্য আঠা তৈরি করা হয়েছে। তবে সে গুলো বড় রক্তনালী বা হৃদপিণ্ডের ভেতরে যে গতিতে রক্ত প্রবাহিত হয় তা ঠেকানোর মতো জোরদার নয় মোটেও।প্রাণী দেহে সফল ভাবে এ আঠা প্রয়োগ করা গেলেও মানব দেহে প্রয়োগ নিয়ে কিছু পরীক্ষা বাকি রয়ে গেছে। অবশ্য, আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে এটি মানুষের শরীরে প্রয়োগ করা সম্ভব হবে বলেও বিজ্ঞানীরা মত ব্যক্ত করেছেন।
No comments:
Post a Comment