লোকসভা ভোটের ফলাফল বেরিয়ে গিয়েছে। এখন মন্ত্রিসভা গঠনের কাজ এবং শাসন পদ্ধতি কি রকম হবে দলের কোথায় কি রদবদল হবে সেই সমস্ত নিয়ে আলোচনার সময় ।তবে এই সময় থেকেই লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে ফেলেছেন বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি জানিয়ে দিলেন এবার তাদের লক্ষ্য বিধানসভা নির্বাচন।
এদিন তিনি স্পষ্ট করে দেন দলের তারাই থাকবেন যারা কাজ করবেন। কাজের প্রমাণ দিতে হবে ভোটে জেতার মাধ্যমে। ভাটপাড়া হালিশহর কাঁচরাপাড়া, বারাসাত, হাবরা, অশোকনগর, বিধান নগর ইত্যাদি এলাকায় তাদের দখলে আসতে পারে বলে তার আশা। এছাড়াও আলিপুরদুয়ার কোচবিহার পুরুলিয়া বাঁকুড়া জলপাইগুড়ি এগুলো বিজেপির আয়ত্তে আনার চেষ্টা চলছে।
এদিকে মুকুল রায় জানান তাদের সঙ্গে 143 জন তৃণমূল বিধায়কের কথা চলছে। বুথ সভাপতি থেকে শুরু করে সাংসদ অনেকেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন ।আসলে ডুবন্ত নৌকায় কেউই পা রাখতে চাইছেন না।বিধানসভা ভোট কবে হবে এই নিয়ে প্রশ্ন তুললে মুকুলবাবুর বক্তব্য তারা চান গণতান্ত্রিকভাবে ভোট হোক। তাই জনসাধারণের ঠিক করবে বিধানসভা ভোট ঠিক কবে হবে।
শুক্রবার দুপুর থেকে কলকাতায় দলের সদর দপ্তরে ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ভোটের কারণে তাকে মেদিনীপুর অঞ্চলে থাকতে হয়েছিল ।অনেক দিন এদিকে আসতে পারেননি ।তাই তার সঙ্গে দেখা করার জন্য দলীয় সমর্থকদের ঢল নেমেছিল। ফুল মিষ্টি দিয়ে তাকে বরণ করার পালা চলছিল। তাদের কেউ এসেছেন হাওড়া থেকে, কেউ এসেছেন হুগলি থেকে, কেউ বা কলকাতার কোন অঞ্চল থেকে। তবে তাদের উদ্দেশ্যে দীলিপবাবু স্পষ্ট বক্তব্য নিজের এলাকা কে জেতাতে পারলেন না, এখন এখানে আবির খেলতে আর মিষ্টি খেতে এসেছেন?তার থেকে নিজের এলাকায় গিয়ে কাজ করুন। পুরসভাকে জেতান।
দক্ষিণবঙ্গের জঙ্গলমহল বিজেপির আওতায় নিয়ে আসা গেছে। এদিকে রানাঘাট ,হূগলী, বর্ধমান বিষ্ণুপুর, বনগাঁ ইত্যাদি অঞ্চল দিয়ে কলকাতা কেও ঘিরে ফেলা গেছে, কিন্তু শহরে প্রবেশ করা যায়নি। তাই তাদের এবারের প্রথম লক্ষ্য কলকাতাকে নিজেদের আওতায় নিয়ে আসা।
No comments:
Post a comment