আলিপুর চিড়িয়াখানায় রয়েছে প্রাণীদের জন্য সুব্যবস্তা
এই গরমে যেখানে সাধারণ মানুষের হাইহুতাশ। সরবত,পাখার ও এসি হাওয়া ভরসা। সেখানে পশুপাখিদের প্রাণের অবস্তা ওষ্ঠাগত। আলিপুর চিড়িয়াখানা, কোনো প্রকার খামতি রাখছে না প্রাণীদের ঠান্ডা রাখতে। কোথাও ফ্যানের হাওয়া , কোথাওবা লাসি। অসহ্য এই বৈশাখের গরম থেকে আরাম দেবার জন্য রয়েছে নানা রকমের মেনু।
বাঘ থেকে সিংহ , বানর থেকে শিম্পাঞ্জি ,জিরাফ থেকে ক্যাঙারু সবাই উপভোগ করছে জামাই আদর। এইসব প্রাণীদের খাদ্য তালিকায়ও পরিবর্তন করেছে চিকিৎসকেরা। যেমন প্রবীণ শিম্পাঞ্জির জন্য রয়েছে লস্যি ও রসালো ফলের ব্যবস্তা। কিন্তু তার বাকি সঙ্গীদের জন্য লস্যির ব্যবস্তা নেই। এ প্রসঙ্গে আশিস সামন্ত জানান ," শিম্পাঞ্জি বাবু বোরো হয়ে গেছে। স্নান করতে চায় না। কাজেই তাকে প্রতিদিন ৩০০-৪০০ মিলিলিটার লস্যি দেওয়াহচ্ছে। ছোট শিম্পাঞ্জিরা আবার জল দেখলেই লাফিয়ে আসে স্নান করতে।
এছাড়া বাঘ সিংহের জন্য রয়েছে সুদূর পাখার ব্যবস্থা। এবং এই প্রাণীদের ঘর ভিজিয়ে দেওয়া হয় সকাল সকাল। কারণ গরম বাড়ার সাথে সাথে তারা ঘরের ঠান্ডা মেঝেতে গিয়ে শুয়ে পড়ে। মাংসাশী প্রাণীদের ক্ষেত্রে মাংসোর পরিমান কমিয়ে দেওয়া হয়েছে যাতে গরমে হজম হয়ে যায়। এছাড়া রয়েছে ভাল্লুকের জন্য দইভাত , জিরাফ জেব্রাদের জন্য গুড়ের শরবত, হাতিদের জন্য শাওয়ারের ব্যবস্তা। প্রাণীদের সাথে কিভাবে মানুষ সুস্থ থাকবে তার জন্য চিকিৎসকের ব্যবস্থা রয়েছে।
No comments:
Post a comment