কাটোয়ার করোজ গ্রামের ৩৬ বছরের যুবক সঞ্জয় ঘোষ ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে ট্রেনের মধ্যে প্রচণ্ড গরমে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। হায়দ্রাবাদের একটি হোটেলে কাজ করতেন সঞ্জয় ঘোষ। ইদানিং তার হার্টে এবং থাইরয়েডে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল। সে কারণে মঙ্গলবার ভাইকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে এসেছিলেন তাঁর দাদা বিনয় ঘোষ।
বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ ত্রিবেণীতে আপ কাটোয়া লোকাল ধরে বাড়ি ফিরছিলেন তারা। তখনো সঞ্জয় ঘোষ সুস্থ ছিল।কিছুক্ষণ পর ভ্যাপসা গরমে তার অস্বস্তি হতে থাকে, যদিও ট্রেনের ভিতর পাখা চলছিল।ট্রেন গুপ্তিপাড়া ছাড়িয়ে বেশ কিছুটা যেতেই হঠাত সঞ্জয় ঘোষ গোঙাতে গোঙাতে নেতিয়ে পড়েন। অম্বিকা কালনা স্টেশনে তাকে নামানোর পরই দাদা বিনয় ঘোষ বুঝতে পারেন ভাইয়ের দেহে আর প্রাণ নেই। ময়না তদন্তের জন্য সঞ্জয় ঘোষ এর দেহ নিয়ে আসা হয় কালনা মহকুমা হাসপাতালে।
সঞ্জয় ঘোষ এর পাঁচ বছরের একটি ছেলে এবং স্ত্রী রয়েছে। দাদা বিনয় ঘোষের দাবি প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে ভাই এর এই অবস্থা হয়েছে।
বলাই বাহুল্য গত কয়েক দিন ধরে তীব্র দাবদাহে নাভিশ্বাস উঠছে মানুষের। বিশেষ করে ভিড় ট্রেন বা বাসে যেতে চরম অবস্থা শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। এই মুহূর্তে বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া সত্যি আর কোন গতি নেই।
No comments:
Post a Comment