এস এস সি প্যানেলে এর নাম আছে অথচ চাকরি পাচ্ছেন না। ক্রমে ঘটে চলা এই ঘটনার প্রতিবাদে হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের এজলাসের বাইরে দীর্ঘক্ষন অবস্থান-বিক্ষোভ করলেন হবু শিক্ষকেরা। হাইকোর্টের মামলার আইনি জটে আটকে রয়েছে তাদের চাকরি, তাই এই বিক্ষোভ। পরে হাইকোর্টের তরফ সে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে বলে ঘোষণা করলে বিক্ষোভ তুলে নেন তারা।
2016 সালে এসএসসিতে কর্মশিক্ষা ও শারীর শিক্ষা বিভাগে নিয়োগ এর জন্য 1693 শূন্য পদ ঘোষণা করা হয়েছিল। এই পদের পরীক্ষা হয় 2017 তে এবং মেধা তালিকা তৈরি হয় 2018 তে। 2019 এ শুরু হয় শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া। 815 জন শিক্ষক নিয়োগ করার পর বাকি হবু শিক্ষকেরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
শিক্ষকদের দাবি প্যানেলের অনেক অসংগতি আছে। যারা সংরক্ষিত আসনের পরীক্ষা দিয়েছেন তাদের নাম প্রথমদিকে থাকলেও শেষের দিকে অন্যদের নাম রয়েছে। আবার প্যানেলে এমন অনেকের নাম রয়েছে যাদের কোনরকম প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি। মামলাটি চলছে মৌসুমি ভট্টাচার্যের এজলাসে।তাদের আরও দাবি দীর্ঘদিন ধরে মামলার কোন শুনানি হচ্ছে না ।আর সে কারণে প্যানেলে নাম থাকা সত্বেও তারা চাকরি পাচ্ছেন না। তাই সোমবার বিচারপতি সম্বুদ্ধ চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে মামলার এই স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে মামলা করেন তারা। কিন্তু ব্যক্তিগত কারনের জন্য মামলাটি অন্য ডিভিশন বেঞ্চে সরিয়ে দেওয়া হয়।এরপরই মৌসুমী ভট্টাচার্যের এজলাসের বাইরে বিক্ষোভ দেখান শতাধিক চাকরি প্রার্থী।পরে হাইকোর্টে তরফে তাদেরকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে মামলা তুলে নেয়া হয় এবং তাদের একটি লিখিত অভিযোগ রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা দেওয়া হয়। জানা গেছে রেজিস্টার জেনারেল এটি প্রধান বিচারপতির কাছে পেশ করবেন।
No comments:
Post a comment