২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে মাঠে নেমে পড়ল বিজেপি। বাঁকুড়ার ১৯ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে তৃনমূল সদস্যদের নিজেদের দলবদল এর কারণে তিনটি পঞ্চায়েত চলে গেছে বিজেপির দখলে ।একটি পঞ্চায়েতের অবস্থা এখন টলমল। তার উপর আবার পঞ্চায়েত স্তরে লাগাতার দুর্নীতির অভিযোগ এনে তৃণমূল সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে আন্দোলনে নামছে বিজেপি।
বাঁকুড়ার ওন্দায় লোকসভা নির্বাচনের মুখে দলবদল করেছিলেন সংসদ। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন সৌমিত্র খাঁ। বিষ্ণুপুরের ওন্দা ব্লকের তৃণমূল সদস্যরা লোকসভা ভোটে নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করেন।
ফলস্বরূপ ব্লকের তিনটি পঞ্চায়েত সম্পূর্ণভাবে চলে গেছে বিজেপির আওতায়। একটি পঞ্চায়েতের ১৫ জন সদস্যের মধ্যে ৬ জন চলে গেছেন গেরুয়া শিবিরে। মঙ্গলবার ওন্দা সহ বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় দলীয় কর্মীরা। কিন্তু গেরুয়া শিবিরে যাওয়া তিনটি পঞ্চায়েতে ক্ষোভ-বিক্ষোভ হয়নি।
স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের মধ্যে ওই তিনটি পঞ্চায়েত গত কয়েকদিন আগেও তৃণমূলের দখলে ছিল।তাহলে এখন কি বিজেপিতে যাওয়ার পর তাদের সমস্ত অভাব অভিযোগ সরে গেছে?
বিষ্ণুপুরের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরার বক্তব্য দল ভাঙার জন্যই এই নতুন কৌশল অবলম্বন করছে বিজেপি। তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যদের ওপর তারা চাপ সৃষ্টি করছে। অন্যদিকে বিজেপির দাবি গ্রামের সাধারণ মানুষই তৃণমূলীদের দুর্নীতিতে বিরক্ত, তাই তারা নিজেরাই এই বিক্ষোভ আন্দোলনে অংশ নিয়েছে।তবে আসল কারণ যাই হোক না কেন এই মুহূর্তে বিক্ষোভ আন্দোলন গেরুয়া শিবিরে নৈতিক জয়েরই লক্ষণ।
No comments:
Post a Comment