হঠাৎ করে আসা ঝড়-বৃষ্টি ডেকে আনল বিপর্যয়। বুধবার বিকেলে মালদহের দুটি এলাকায় বাজ পড়ে 5 জনের মৃত্যু হল। শুধু তাই নয় বজ্রপাতে ঘটনায় কমপক্ষে 10 জন আহত হয়েছেন। তাদের চিকিৎসার জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে গাজল ও মানিকচক থানা এলাকায় তিনটে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। গাজলে বাজ পড়ে মারা যান চারজন। মানিকচকে এক নাবালিকার মৃত্যু হয়। মৃতরা হলেন সায়ম আলী (27), জোহান সরেন (55), শান্তি শাহরিয়া (55), তালাময়ী চড়ে(45)। এনারা সকলেই গাজল এর বাসিন্দা। অন্যদিকে মানিকচকে সুবি খাতুন নামে 12 বছরের একটি বালিকা মারা যায়।
বুধবার বিকেল থেকেই জেলা জুড়ে ঝড় বৃষ্টি শুরু হয় ।মুহুর্মুহু বজ্রপাত ঘটতে থাকে। সেই সময় গাজোল থানার বহিরগাছি 2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা সায়ম আলী ও রাশিদা বিবি গাছ থেকে আম পাড়ছিলেন। ওই সময় সায়ম বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হন। আহত হন তার স্ত্রী ও।
অন্যদিকে গাজলের করকচ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বাগমারি ডাঙাতে বাজ পড়ে মারা যান শান্তি শাহরিয়া ও তালামই চড়ে। তারা কাজ করছিলেন ভুট্টাক্ষেতে ।আরো অনেক ক্ষেতমজুর সেখানে ছিলেন। আচমকা বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ায় তারা একটি ছাউনির মধ্যে গিয়ে দাঁড়ান। সেই সময় বাজ পড়ে মৃত্যু হয় ওই দুই মহিলার। আরো একজন মহিলা আহত হন ।তিনি মালদা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।পাণ্ডুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ধামুর গ্রামে জোহান সোরেনের বাড়ি। ঘটনার সময় তিনি নিজের টিনের ছাউনি বাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। আচমকা বাজ পড়লে তিনি আহত হন। তারপর তাকে হাতিমারি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকি আহতরাও গাজলের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
মানিকচক থানার নুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বাড়ি সুবি খাতুনের। ঘটনার সময় সে বাড়ির বাইরে ছিল ।গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে মানিকচক হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।জেলা সভাধিপতি গৌর চন্দ্র মন্ডল মৃতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন।
No comments:
Post a comment