খেলা করতে করতে বাড়ির কাছে কুয়োর পড়ে গিয়েছিল দু'বছরের ছোট্ট শিশুটি। আড়াই দিন পরেও কুয়ো থেকে উদ্ধার করা গেল না ফতেবীর সিংকে। অবশ্য জোরকদমে উদ্ধারকাজ শুরু করতেই অনেকটা সময় লেগে যায়। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শিশুটির অনেক কাছাকাছি পৌঁছতে পেরেছে উদ্ধারকারীরা। রবিবারের মধ্যেই তাকে বের করে আনা যেতে পারে।এটি পঞ্জাবের সাংরুর জেলার ঘটনা। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টের সময় বাড়ির কাছে ১৫০ ফুট গভীর গর্তে পড়ে যায় ফতেবীর সিং। তারপর কেটে গিয়েছে ৫৫ ঘণ্টা। চিন্তার বিষয় হল, শিশুটি কুয়োর ভিতর অচৈতন্য হয়ে পড়েছে। খবরটি শোনার পর থেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। ছেলে যাতে বেঁচে ফিরে আসে তার জন্য সর্বক্ষণ ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করেই চলেছে বাবা-মা।
শিশুটিকে উদ্ধারে যুদ্ধকালীন তত্পরতায় চলছে কাজ। ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও জওয়ানদের। পুলিশ তো রয়েছেই। গ্রামবাসীরাও শিশুটিকে উদ্ধারে এগিয়ে এসেছে। অগভীর কুয়ো থেকে শিশুটিকে বের করে আনতে পাশেই সমান্তরাল গর্ত খোড়া হয়েছে। যার ভিতর ৩৬ ইঞ্চির মোটা সিমেন্টের পাইপ ঢোকানো হয়েছে। পাইপটি ১০৫ ফুট গভীরতা অবধি পৌঁছানো গিয়েছে। আর ২০ ফুট যাওয়া বাকি। সব কাজ ঠিকমতো এগোলে রবিবার সকালের মধ্যে শিশুটিকে বের করে আনা সম্ভব হবে।
এদিকে শিশুটির যাতে শ্বাস প্রশ্বাসে কষ্ট না হয় তার জন্য অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিশুটির অবস্থান জানতে কুয়োর ভিতর একটি ক্যামেরা ঢোকানো হয়। তখনই জানা যায় ভেতরে অজ্ঞান হয়ে পড়ে রয়েছে ফতেবীর। তাই ডাক্তারদের একটি টিমও সেখানে পাঠানো হয়েছে। রয়েছে অ্যাম্বুলেন্সও। কুয়ো থেকে বের করে আনার পর শিশুটির চিকিত্সা যাতে দ্রুত শুরু করা যায় তার জন্যই এই ব্যবস্থা।
No comments:
Post a Comment