জোড়া ফুল ছেড়ে নৈহাটি পৌরসভার রং এখন গেরুয়া। তৃণমূলের অধিকাংশ কাউন্সিলর যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। অনাস্তা ভোট এড়াতে অবশ্য রাজ্য সরকার প্রশাসক বসানো সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দল বদল এর আবহে উত্তেজনা রয়েছে। ভোট পরবর্তী সময় এর আগেও হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল নৈহাটিতে। তার রেশ এখনো চলছে। নৈহাটি পুরসভার অন্তর্গত ১১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতির বাড়িতে দুষ্কৃতী হামলার অভিযোগ উঠল।
হামলায় আক্রান্ত তৃণমূল সভাপতি ভরত ঘোষ। অভিযোগ ভরতবাবু যখন নিজের বাড়িতে ঘুমাচ্ছিলেন সেই সময় কয়েকজন সশস্ত্র দুষ্কৃতী লাঠি, রড,বাশ নিয়ে তার বাড়িতে চড়াও হয়।বাড়ির দরজা জানালা বন্ধ থাকায় দুষ্কৃতীরা ওই তৃণমূল নেতার বাড়িতে ইট ছুড়তে শুরু করে, ভেঙে যায় বাড়ির কাচের জানালা । ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ঘােষ পরিবার । খবর দেওয়া হয় নৈহাটি থানায় । আক্রান্ত ওই তৃণমূল নেতার অভিযােগ , ' ' দুষ্কৃতীরা আমার বাড়িতে পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালিয়েছে । নৈহাটি পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের আফিসটি বিজেপি দখল করে নিয়েছিল ভােটের পর । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে নৈহাটিতে এসে এই দলীয় কার্যালয়টি পুনরুদ্ধার করেন। তবে দুষ্কৃতীরা বিজেপির কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত নন তিনি । ঘটনায় বিজেপির কেউ জড়িত নয় বলেই দাবি করেছে নৈহাটি এলাকার স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব ।ভাের পরবর্তী হিংসার আঁচে পুড়েছে নৈহাটি । ওই এলাকার বহু পরিবার ঘরছাড়া হয়ে যায়। তাদের ফের ঘরে ফেরাতে গত ৩০ মে বিকেলে নৈহাটি পুরসভার সামনে সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । নাম না করে তােপ দাগেন মুকুল রায় ও অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে। ' গদ্দার ' বলে চিহ্নিত করে এদের। বিজেপির টাকা নিয়ে এরা দু ' জন এখানে অত্যাচার চালিয়েছেন বলেও দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী।
No comments:
Post a comment