ঘটনাটি হলো ঝাড়খণ্ডের এক যুবকের, নাম তাবরেজ আনসারি। যুবকটি ঝাড়খণ্ডের একটি ভিড়ের মধ্যে আটকে যায়। তারপর চুরির অভিযোগ দিয়ে সেই জনগনরা তাকে লাইট পোস্টের সাথে বেঁধে পেটাতে থাকে এবং তাবরেজকে "জয় শ্রীরাম" বলতে বাধ্য করা হচ্ছিল। যুবকটি "জয় শ্রীরাম" বলেছিলো আর তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্যও ক্রমশ ক্ষমা চাইছিলো। ১৮ই জুন, ঝাড়খণ্ডের সারাইখেলা খারসবা জেলার ঘটনা এটি। কিন্তু, ১৮ই জুন থেকে ২২ই জুন তাবরেজকে অত্যাচার করার চতুর্থ দিনের দিন তাবরেজ তার শরীর খারাপ হওয়ার কথা সেই জনগণগুলিকে বলার পর তাকে প্রথমে শহরের এক হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয় তারপর তাকে সেখান থেকে জামশেদপুরের টাটা মেমোরিয়াল হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়। টাটা মেমোরিয়াল হসপিটালে তাবরেজকে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

ঘটনাটির ধিক্কার জানিয়ে তসলিমা তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লেখেন, "২২ বছর বয়সি তাবরেজ আনসারিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পিটিয়েছে তারা, যারা তাকে জয় শ্রীরাম আর জয় হনুমান বলতে বাধ্য করেছে। শেষ পর্যন্ত হাসপাতালেই মরতে হয় তাবরেজকে। মোটর সাইকেল চুরি করতে চেয়েছিল তাবরেজ। বেটা চোর। কিন্তু চোরকে কি পিটিয়ে মেরে ফেলতে হয়? চোরকে কেনই বা জয় শ্রীরাম বলতে বলা হবে। রাগটা কি তবে যত না সে চোর বলে, তার চেয়ে বেশি মুসলমান বলে? ভারত নিয়ে আমি কতই না গর্ব করি যে এই দেশটি সংখ্যালঘুদের বড় ভালো রাখে। বাংলাদেশ আর পাকিস্তান তো তাদের সংখ্যালঘুদের নিশ্চিহ্ন করে দিচ্ছে। কিন্তু কদিন পর পরই এই ভারতবর্ষে ঘটে যাচ্ছে সংখ্যালঘুকে পিটিয়ে মারার কাহিনী, জোর করে জয় শ্রীরাম বলার কাহিনী।"
No comments:
Post a Comment