জল সংকট চরমে। আর সে কারণে এক অভিনব সিদ্ধান্ত নিলেন কর্ণাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী জি পরমেশ্বর। বেলানগুরু হৃদের দূষণের খবর আন্তর্জাতিক স্তরে উঠে গেছে। পানীয় জলের জন্য শুরু হয়েছে হাহাকার। আর সেই কারণেই এই অভিনব সিদ্ধান্ত সরকারপক্ষের।
তিনি জানিয়েছেন তীব্র জল সংকট মেটাতে আগামী পাঁচ বছর আর কোন নতুন বহুতলের পারমিশন দেবে না রাজ্য সরকার। কারণ যত বেশি বহুতল তত বেশি মানুষের বাস এবং তত বেশি বাড়বে জলের চাহিদা। ইতিমধ্যেই গোটা শহর এখন জল পাচ্ছে একমাত্র পানীয় জলের উৎস কাবেরী নদীর পঞ্চম স্তর থেকে। প্রত্যেকটি বোর পাম্প কে বারোশো ফুট গভীরে নামানো হচ্ছে জলের সন্ধানে। এই পাম্পগুলি প্রত্যেকদিন গড়ে ৪০০মিলিয়ন গ্যালন জল তুলতে পারে।
যদি কাবেরী নদীর জল শুকিয়ে যায় তাহলে কি হবে তাই নিয়ে এখন বেশ চিন্তিত রাজ্য সরকার। বহুতল নির্মাণ বন্ধ করার আরও একটি কারণ ,যত বেশি বহুতল হবে ততো বেশি মানুষের বাস হবে। আর সেই সঙ্গে রাস্তায় পাল্লা দিয়ে বাড়বে গাড়ি। এর ফলে যানজট কাটানোর জন্য তৈরি করতে হবে নতুন রাস্তা।
তবে তিনি এ বিষয়টিও স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে এখনো পর্যন্ত এই পরিকল্পনাটি চিন্তাভাবনা স্তরে রয়েছে। বিভিন্ন নির্মাণকারী সংস্থা এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনার পর এই সরকার স্থায়ী কোনো সিদ্ধান্ত নেবে। তবে পানীয় জলের বিকল্প ব্যবস্থা খোঁজার চেষ্টা চলছে। শহরের হ্রদগুলির সংস্কার করে সেগুলিকে জলের চাহিদা মেটানোর উপযোগী করার ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।কোলারে ৬০০-৭০০এমএলডি জল পুনর্ব্যবহারযোগ্য করা হচ্ছে যা ভারতে এই প্রথম।
No comments:
Post a Comment