বর্তমান যুগের ছেলে মেয়েদের ইন্টারনেট থেকে দূরে সরিয়ে রাখা এক প্রকার অসাধ্য। ইন্টারনেটের বিশালতা এবং সহজলভ্যতা শিশু এবং কিশোরদের আকৃষ্ট করছে নিজের দিকে। এতদিন বিভিন্ন রকম ইন্টার্নেট গেমস নিয়ে বাবা-মায়েরা চিন্তায় থাকতেন ।তবে জিডি বিড়লার ঘটনার পর থেকে আরো একটি মারাত্মক ঘটনা অভিভাবকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।ইন্টারনেটের ওয়েব সিরিজ দেখা শিশুদের পক্ষে কতটা মারাত্মক তা এই ঘটনার তদন্তে নেমে মনোবিদরা বুঝতে পেরেছেন ,যা তাদেরকে আতংকিত করে তুলেছে। বর্তমান যুগে অভিভাবকদের সঙ্গে সন্তানদের সম্পর্কের ফাঁক থেকে যায় অনেকটাই। আর ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা সেই ফাঁকটাকে পূরণ করে শিশুদের মন এবং মস্তিষ্ককে গ্রাস করে নিচ্ছে।
শিশু এবং কিশোররা অতিমাত্রায় কল্পনাপ্রবণ এবং অনুকরণ প্রিয় হয়ে থাকে। তারা যা দেখে সেটা কেই বাস্তবে অনুকরণ করতে চায়। অবাধ ইন্টারনেটের ব্যবহার একদিকে যেমন কিশোরদের সামনে জ্ঞানের পরিধি খুলে দিয়েছে তেমনি ইন্টারনেটের কুফল গুলি ও তাদের ওপর যথেষ্ট খারাপ প্রভাব ফেলছে। একটি শিশুর হাতে স্মার্টফোন থাকা মানেই ইন্টার্নেট তার হাতের মুঠোয় চলে আসা। অনেক সময় অভিভাবকরা ব্যর্থ হন তাদের সন্তান ইন্টারনেট কিভাবে ব্যবহার করছে সেটা খেয়াল রাখতে। তাই মনোবিদদের বক্তব্য বিশেষ করে কৈশোর বয়সে বাবা মায়েদের অত্যন্ত যত্নবান হওয়া উচিত, এই বিষয়ে যে তাদের সন্তান ইন্টারনেট কে কেমন ভাবে ব্যবহার করছে। ইন্টারনেটের ভার্চুয়াল কন্টাক থেকে শুরু করে অনেক বিষয়ে বাবা-মায়ের চোখের আড়ালে থেকে যাচ্ছে। তাই খুব সহজেই ইন্টারনেটের কুফল গুলি তাদের মন এবং মস্তিষ্ক কে নিয়ন্ত্রন করে নিজের পথে চালিত করতে পারছে। আগেকার দিনে যখন বাবা-মা তাদের সন্তানকে কোন বই কিনে দিতেন তারা বুঝতে পারতেন সন্তান কি পড়ছে, কিন্তু হাতে স্মার্টফোন থাকা সন্তান ইন্টারনেটে কি দেখছে বা কি করছে সেটা বোঝা বাবা মায়ের পক্ষে প্রায় অসম্ভব।
বিশেষ করে ১২থেকে ১৬ বছর বয়সী কিশোরেরা অত্যধিক ইগো প্রবণ হয়ে থাকে। তারা বাবা-মায়ের সঙ্গে সমস্ত কথা শেয়ার করে না। তাই এই বয়স কালে সন্তানদের বাবা-মায়েদের অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে সন্তানদের নিয়ন্ত্রণ করার কথা বলেছেন মনোবিদরা।
No comments:
Post a comment