লোকসভা ভোটে কার্যত রাহুল গান্ধীকে ধরাশায়ী করে দিয়েছেন স্মৃতি ইরানি। কিন্তু এখানেই ক্ষান্ত নন তিনি। তিনি এমন কাজ করেছেন যে গত দেড় দশকে রাহুল গান্ধী করে উঠতে পারেননি এবং তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও তিনি জনগণকে জানিয়ে রেখেছেন ।গুজরাটের বাসিন্দা স্মৃতি ইরানি এবার থেকে আমেঠীর গৌরিগঞ্জে বাড়ি বানিয়ে থাকবেন ।তিনি চান আমেঠীর বাসিন্দা হতে। আমেঠীর ভোটার তালিকায় নিজের নাম তুলতে। আমেঠীর মানুষজনের সঙ্গে সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ করার উদ্দেশ্যেই তার এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে শনি ও রবিবার তিনি দুদিনের সফরে আমেঠী গিয়েছিলেন ।সেখানে তিনি বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন, পথে এক অসুস্থ মহিলাকে দায়িত্ব নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছেন, কোদাল দিয়ে বৃক্ষরোপণ করেছেন। এবং ঘোষণা করেছেন তিনি আমেঠীর গৌরিগঞ্জে জমি কিনে বাড়ি করবেন।যাতে আমেঠীর মানুষজন তাদের সাংসদকে হাতের কাছেই পায়।
তার এই সিদ্ধান্ত থেকে স্পষ্ট যে তিনি ভবিষ্যতে আমেঠী থেকে এই নির্বাচনে লড়বেন। রাহুল গান্ধীর মতন একজন নেতা কে পরাস্ত করায় বিজেপি স্মৃতি ইরানীর ওপর যথেষ্ট আস্থাবান এবং স্মৃতি ইরানি ও নিজের দায়িত্ব ধরে রাখতে এবং রাজনৈতিক দিক থেকে সিদ্ধান্ত নিতে যথেষ্ট পটু সেটা বারবার প্রমাণ করেছেন। আমেঠীর হারানো জমি যাতে আর কোনদিনও রাহুল গান্ধী ফিরে না পায় সেই ব্যবস্থা করতে পাকাপাকিভাবে মাঠে নেমে পড়েছেন তিনি।
2004,2009,2014 সালে তিনবার আমেঠী থেকে সংসদ নির্বাচিত হয়েছেন রাহুল গান্ধী। 1999 সালে তার মা সোনিয়া গান্ধী এখানকার সাংসদ ছিলেন। এতদিন আমেঠী নিজেদের দখলে থাকলেও কোনদিনই আমেঠীর বাসিন্দা হওয়ার কথা ভাবেননি গান্ধী পরিবারের কেউ। আমেঠীতে গেলে তারা থাকতেন গেস্ট হাউসে।
রাহুলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে স্মৃতি ইরানি বলেছিলেন একজন খুব নাম জাদা ব্যক্তি এখানকার সাংসদ ছিলেন। যিনি 5 বছরেও এদিকে আসতেন না ।এমনকি লন্ঠন নিয়ে খুঁজলেও তাকে খুঁজে পাওয়া যেত না। আজ আমেঠীর মানুষের সিদ্ধান্ত বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে গেছে। তারা নামজাদা ব্যক্তির থেকে সরে এসে প্রকৃত উন্নয়ন কে বেছে নিয়েছে। আমি কথা দিচ্ছি সততার সঙ্গে আমি আমেঠীর সেবা করে যাবো।সেদিন রাজা বিশ্বনাথ স্মরণ ইন্টার কলেজ চত্বরে পরপর কয়েকটি প্রকল্পের শিলান্যাস করেন স্মৃতি ইরানী।
No comments:
Post a Comment