হু হু করে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। শুক্রবার সকালে সরকারি মতে মৃতের সংখ্যা ৪৪। আহত ৩০ জনেরও বেশি বলে। তাঁদের আপাতত বানজার সিভিল হাসপাতাল এবং কুলুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে বানজার থেকে গাড়াগুসানি যাওয়ার সময় মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটির কবলে পড়ে যাত্রীবোঝাই বাসটি। ক্ষমতার তুলনাতেও অনেক বেশি যাত্রী ছিলেন বাসটিতে। এমনকি বাসের ছাদেও বেশ কিছু যাত্রী বসে ছিলেন। কিন্তু পথে আচমকাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি সটান পড়ে যায় ৫০০ মিটার গভীর খাদে। সঙ্গে সঙ্গেই স্থানীয়রা শুরু করেন উদ্ধার কাজ। পৌঁছয় অ্যাম্বুল্যান্স, চিকিত্সকরাও। জোর কদমে চলে উদ্ধারকাজ। স্থানীয় সূত্রের খবর, ৭০ জনেরও বেশি যাত্রী নিয়ে বাসটি যাচ্ছিল। পুলিসের অনুমান, বাসটি অত্যন্ত দ্রুতগতিতে যাচ্ছিল। এছাড়া পরিবহণ ক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি যাত্রী নিয়ে যাওয়াতেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনায় রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লামিদির পুতিন।তিনি বলেন, “হিমাচল প্রদেশে যে বাস দুর্ঘটনায় প্নেক শিশু এবং কিশোর-কিশোরীর প্রাণ গিয়েছে তার জন্য আমি মর্মাহত। অনুগ্রহ করে আপনারা আমার সমবেদনা গ্রহণ করবেন।” এখানেই শেষ হয়ে যায়নি রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের বক্তব্য। ভ্লামিদির পুতিন আরও বলেছেন, “আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ করছি ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবার এবং পরিজনদের কাছে আমার সমবেদনা এবং সমর্থন পৌঁছে দেবেন।”কোনও আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক বিষয় এর সঙ্গে জড়িত নেই। ভারতের অভ্যন্তরিন বিষয় নিয়েই নিজের অভিমত প্রকাশ করেছেন বামপন্থার পীঠস্থান রাশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান।
No comments:
Post a Comment