সামনের সপ্তাহেই ফেসবুক নিজেদের ক্রিপ্টোকারেন্সির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে ক্রিপ্টোকারেন্সির নাম হবে ‘লিবরা’। আগামী বছর থেকে চালু হবে এই ক্রিপ্টোকারেন্সি। বিশ্লেষকরা বলছেন, ফেসবুকের ক্রিপ্টোকারেন্সি চালু হলে বিশ্বব্যাপী ব্যাংকিং সেবায় আমূল পরিবর্তন আসবে। ফেসবুকের এই ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রকল্প সফল হলে, অচিরেই বিশ্বের সব আর্থিক লেনদেন ব্লকচেইন প্রযুক্তির আওতায় চলে আসবে।
প্রচলিত মুদ্রা অর্থাৎ ডলার, পাউন্ড, টাকা ইত্যাদির মতো, ক্রিপ্টোকারেন্সিও এক ধরনের মুদ্রা বা বিনিময় মাধ্যম। ব্লকচেইন প্রযুক্তির মাধ্যমে লেনদেনের জন্য এই ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করা হয়। প্রচলিত এমন মুদ্রা হলো—বিটকয়েন, বিটক্যাশ, মোনেরো, লাইটকয়েন ইত্যাদি। অন্যদিকে ব্লকচেইন হলো তথ্য সংরক্ষণ করার একটি নিরাপদ ও উন্মুক্ত পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে তথ্য বিভিন্ন ব্লকে একটির পর একটি চেইন আকারে সংরক্ষণ করা হয়।
এরই মধ্যে বিশ্বের বৃহৎ আর্থিক লেনদেন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য গ্রাহকসেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ফেসবুকের সঙ্গে ‘লিবরা’ ক্রিপ্টোকারেন্সি বিষয়ে চুক্তি করেছে। এসব কোম্পানির মধ্যে ভিসা, মাস্টারকার্ড, পেপ্যাল, উবার, স্ট্রাইপ ও বুকিংডটকম অন্যতম। এসব কোম্পানিগুলো ফেসবুকের ক্রিপ্টোকারেন্সি তৈরির জন্য প্রত্যেকে এক কোটি ডলার করে বিনিয়োগ করবে। কোম্পানিগুলো ‘লিবরা অ্যাসোসিয়েশন’ নামে একটি স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের অধীনে থেকে ফেসবুকের ডিজিটাল কয়েন ব্যবস্থাটি দেখভাল করবে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ডিজিটাল মুদ্রা আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করার আগে বেশকিছু আইন-কানুনের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে ফেসবুককে। এ ছাড়া এই মুদ্রার নিরাপত্তা ও মানি-লন্ডারিংয়ের ঝুঁকি দূর করার পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও রাখতে হবে।
No comments:
Post a comment