রিজার্ভ ব্যাংকের বার্ষিক রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে যে 2018-19 অর্থবর্ষে ব্যাংক প্রতারণা ঘটেছে মোট 71,542 কোটি টাকা অথচ ঠিক এক বছর আগে অর্থাৎ 2017-18 অর্থবর্ষে প্রতারণা হয়েছিল 41,167.04 কোটি টাকা।অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এবছর এ প্রতারণার সংখ্যা বেড়েছে 74 শতাংশ বেশি। এছাড়া বেড়ে গেছে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ঘটনা।আবার ব্যাংক থেকে তা চিহ্নিত করতে সময় লেগে যাচ্ছে 22 মাস।
অর্থমন্ত্রী নির্মালা সিথারামান কিছুদিন আগেই দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে অবিলম্বে 70 হাজার কোটি টাকা পুঁজি বিনিয়োগ করার কথা বলেছিলেন।
কিন্তু এদিকে রিজার্ভ ব্যাংকের বার্ষিক রিপোর্ট জানাচ্ছে সদ্য শেষ হওয়া আর্থিক বর্ষের ব্যাংক প্রতারণা সংখ্যা কত বেড়ে গেছে।একের পর এক ব্যাগ প্রতারণার ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়ছে নরেন্দ্র মোদি সরকার।তার উপর রিজার্ভ ব্যাংকের এমন রিপোর্ট স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রীয় সরকারের অস্বস্তি বাড়ালো।
বার্ষিক রিপোর্টে জানা যাচ্ছে গত অর্থবছরে তুলনায় এবছর ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ঘটনা 15 শতাংশ বেশি।আর প্রতারণা সবথেকে বেশি হয়েছে রাষ্ট্রয়ত্ত ব্যাংকগুলোতে।মোট 64,509কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে 3763 ব্যাংক প্রতারণার ঘটনা য়।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য 2018 সালের ফেব্রুয়ারীতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের নিরব মোদীর 13 হাজার কোটি টাকার ঋণ প্রতারণা সামনে আসে।
যদিও কেন্দ্র বারবার নজরদারি কথা বলছে কিন্তু রিজার্ভ ব্যাংকের রিপোর্ট সম্পূর্ণ অন্য কথা বলছে।বিভিন্ন মহল থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে যে কোন উৎপাদক সম্পদের জেরে নাকাল ব্যাংকগুলোতে পুঁজি নষ্ট হাওয়া আটকানো গেলেও তাদের আর্থিক খুঁটি মজবুত করা খুবই দুষ্কর।
No comments:
Post a comment