এমনিতেই টানা বৃষ্টিতে জেরবার অবস্থা পশ্চিম মেদিনীপুরের।তার উপর আবার গালুডি ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া হচ্ছে এখনো পর্যন্ত এক লক্ষ নব্বই হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে।এই জলে বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।যদিও সাময়িকভাবে রাতের পর জল নেমে যায়।
ব্যারেজের জলে সুবর্ণরেখা নদী তে জলস্ফীতি ঘটে।এর ফলে ঝাড়গ্রাম ব্লকের গোপীবল্লভপুর 1,2 সাঁকরাইল, নয়া গ্রাম এলাকার মানুষ কে সতর্ক করা হয়েছে।নদীতে মাছ ধরতে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এমনকি নদীতে স্নান করতে যাওয়া নিষেধ করা হয়েছে।আচমকা নদীর জল পার্শ্ববর্তী অঞ্চল গুলিতে ঢুকে পড়ার আশঙ্কায় প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে ব্লকগুলিতে।এই জেলার চারটি ব্লকে নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলিতে সকাল থেকে মাইকিংয়ের মাধ্যমে সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছে।
সকাল থেকে আকাশ পরিষ্কার থাকলেও দুপুরের পর প্রচুরবৃষ্টি নামে।বৃষ্টি এবং ব্যারেজের জলে সুবর্ণরেখা নদীর জল বাড়ে।এখনো পর্যন্ত জল বিপদসীমা অতিক্রম না করলেও সামান্য বৃষ্টিতেই তা অতিক্রম করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে ।ব্লকে ত্রিপল, শুকনো খাবার মজুদ করা হচ্ছে।
গোপীবল্লভপুর এর বিডিও দেবজ্যোতি পাত্রের বক্তব্য, তারা যেকোন রকম পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তৈরি।ইতিমধ্যেই বন্যা নিয়ন্ত্রণের সমস্ত পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে।ত্রিপল, খাবার মজুদ করা হচ্ছে।নদী তীরবর্তী গ্রাম গুলির উপর বিশেষভাবে নজর দেওয়া হয়েছে।
No comments:
Post a comment