ব্রাজিলের শহর সাও পালো ঢেকে গিয়েছে ঘন অন্ধকারে।অথচ এখন রাত্রি নয়, দুপুরবেলা।শুধু মাত্র সাঁও পালো ই নয়, রুমাইয়া এবং পেরুর আকাশ ভরে গিয়েছে ধোঁয়ায়।কারণটা আর কিছুই নয় আগুন লেগেছে আমাজন অরণ্যে।আর সেই আগুন এর প্রকোপ এতটাই যে মহাকাশ থেকেও আগুনের লেলিহান শিখা আর ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যাচ্ছে।অ্যামাজন থেকে 2700 কিলোমিটার দূরে সাও পালো র আকাশে ধোয়ার রাজত্ব।
72, 843 টি দাবানলের ঘটনা ঘটেছে এ বছর আমাজন অরণ্য এ।গত বছরের তুলনায় 83 শতাংশ বেশি, এবং 2013 সালের দ্বিগুণ।ব্রাজিলের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র " ইনপে"এর বক্তব্য এ বছরে দাবানলে ঘটনা আগের সমস্ত রেকর্ড ছাপিয়ে গেছে।
মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা ও আমাজনের দাবানলের কয়েকটি উপগ্রহ চিত্র পেশ করে।
গোটা বিশ্বের উষ্ণায়ন প্রতিরোধ করতে অন্যতম ভরসা এই আমাজন অরণ্য।একে গোটা বিশ্বের ফুসফুস ও বলা হয়ে থাকে।পৃথিবীর মোট বায়ুমণ্ডলের কুড়ি শতাংশ অক্সিজেন সরবরাহ হয় এই আমাজন অরণ্য থেকে।তাই এই অরণ্যে বারবার দাবানলের ঘটনা কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে পরিবেশবিদদের।শুকনো পাতায় দাবানল জ্বলে ওঠে ঠিকই, তবে সমস্ত দাবানল কে তারা প্রাকৃতিক বলে মানতে রাজি নন।অনেক সময় স্থানীয় অধিবাসীরা জমি বা খামার তৈরি জন্য ইচ্ছে করে জঙ্গলে আগুন লাগিয়ে দেন।আমাজন অরণ্য খনিজ সম্পদে পরিপূর্ণ।বর্তমানে এই খনিজ পদার্থের জন্য আমাজন অরণ্য জঙ্গল কেটে সার্চ করে খনিজ পদার্থ উত্তোলন এর চেষ্টা চলছে।
পরিবেশবিদরা অ্যামাজনের এই ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য দক্ষিণপন্থী প্রেসিডেন্ট জাহির বলসোনারোর নীতি কে দায়ী করেছেন।যদিও তিনি বলেন তাকে মিথ্যা দোষারোপ করা হচ্ছে।প্রতি বছর এই সময় আগুন জ্বালিয়ে চাষিরা চাষের জমি তৈরি করেন এ বছরও তাই ঘটছে।
No comments:
Post a comment