বউবাজার ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো সুড়ঙ্গ খোঁড়া খোঁড়ার ফলে ধসে পড়েছে বেশ কিছু বাড়ি। এর মধ্যে বেশিরভাগই গয়না কারিগরের বাড়ি, অথবা কারখানা ছিল। তাই অনেককে কারখানা বন্ধ করে দিতে হয়েছে, আবার অনেকের কারখানা চাপা পড়ে গেছে ভাঙ্গা বাড়ির স্তূপে।তাই দিশেহারা গয়না মজুরেরা তাদের রুটি-রুজি বন্ধ হওয়ার কারণে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন করেছে।
বউবাজার স্বর্ণশিল্পী সমিতির সম্পাদক সুব্রত কর বলেন যে, সমস্ত অঞ্চলে বাড়ি ভেঙে পড়েছে সেখানে 55 টি গয়না তৈরীর কারখানা ছিল।তার মধ্যে 25 টি কারখানা ভাঙ্গা বাড়ীর স্তূপে চাপা পড়ে রয়েছে, যেহেতু এখানকার কারিগরেরা দিনমজুর হিসেবে কাজ করেন তাই প্রায় 3000 গয়না কারিগরের রুটি-রুজি সম্পূর্ণ বন্ধ।তাদের সংসার চালানো দায় হয়ে দাড়িয়েছে।এই ঘটনার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ, তাই তাদেরকে এর ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
যে সমস্ত বাড়িগুলি ভেঙে পড়েছে, সেগুলিকে ফের নির্মাণ করতে এক বছরেরও বেশী সময় লাগবে। ততদিনে একটি অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা চালু করার দাবি জানিয়েছেন তারা এবং যে কারখানাগুলির চাপা পড়ে গেছে সেগুলির জন্য বিকল্প অন্য জায়গার ব্যবস্থা করতে হবে রেল কর্তৃপক্ষকে এমনটাও দাবি গয়না কারিগরদের।
তবে যতদিন এই বাড়িগুলো পুনর্নির্মাণ করা হবে ততদিন তাদের চলবে কি করে এই নিয়ে কারিগরদের দুশ্চিন্তার অন্ত নেই, আবার নতুনভাবে নির্মাণ হওয়ার পরে আগের কারিগররা ঠিকভাবে কাজ পাবেন কিনা, আদৌ তারা কোনদিনও কাজে ফিরতে পারবেন কিনা, এই নিয়ে তাদের চিন্তার শেষ নেই। সুব্রতবাবু জানিয়েছেন যে বাড়ির কারিগররা রুটি-রুজি হারিয়েছেন তাদের প্রত্যেকের নাম ঠিকানা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। এখন পুরসভাও মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ কি পদক্ষেপ নেয় সেটাই দেখার বিষয়।
No comments:
Post a comment