দেহব্যবসায় নামতে রাজি হয়নি স্ত্রী। তাই রাগের মাথায় স্ত্রীকে গলায় কাপড় পেচিয়ে খুন করে একটি কম্বলের মুড়ে তার দেহ প্লাস্টিকের ব্যাগে করে দিল্লির রাস্তায় ফেলে গিয়েছিল স্বামী। অনেকদিন ধরে খোঁজখবর করার পর অবশেষে দিল্লি পুলিশের জালে ধরা পড়লো বাঙালি যুবক মৃতার স্বামী জলিল শেখ। সে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার বাসিন্দা। কলকাতার বালিগঞ্জ স্টেশন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জানা গেছে 2014 সালের ফাতিমা সরদারের সঙ্গে বিয়ে হয় জলিল শেখ এর। জলিল এর আগে আরও একটি স্ত্রী আছে। সে থাকে দক্ষিণ 24 পরগনা তেই। ফাতিমা থাকতেন দিল্লিতে।তাদের একটি সন্তানও আছে।
বিয়ের পর থেকেই ফাতিমাকে দেহব্যবসায় নামতে চাইছিল জলিল। কিন্তু ফাতিমা কিছুতেই রাজি হচ্ছিল না। এই নিয়ে দুজনের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া অশান্তি লেগে থাকত। গত 5 ই আগস্ট ফাতিমাকে খুন করে জলিল।
ফতিমার দেহ উদ্ধারের পরই দিল্লি পুলিশ তদন্তে নামে। ফাতিমার পরিচয় জানার জন্য বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এবং পুলিশের গ্রুপ থেকে ফতিমার ছবি শেয়ার করা হয়। তারপর ই পশ্চিমবঙ্গের প্রতিমার পরিবার থেকে একজন যোগাযোগ করে। তার কাছ থেকেই জানা যায় ফতিমা জলিলের দ্বিতীয় স্ত্রী। সেই সূত্র ধরে গত 28 আগস্ট পুলিশ জলিলকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা থেকে।
পুলিশি জেরায় জলিল স্বীকার করেছে সেই ফতিমার সঙ্গে লিভ টুগেদারের থাকতো। তারপর ফতিমার পরিবারের চাপে তারা বিয়ে করে। কিন্তু প্রথম থেকেই তার উদ্দেশ্য ছিল ফতিমাকে দেহব্যবসায় নামানো। অথচ ফাতিমা কিছুতেই রাজি হচ্ছিল না। তাই সেদিন রাগের মাথায় ফাতিমাকে খুন করে সে। পুলিশের তরফ থেকে জানা গেছে এর আগেও পশ্চিমবঙ্গ থেকে নারী পাচারের অভিযোগে জলিল একবার গ্রেফতার হয়েছিল।
No comments:
Post a comment