নদীয়া নবদ্বীপ পুরসভার 21 নম্বর ওয়ার্ডে প্রাচীন মায়াপুর জাতীয় বিদ্যালয় পাড়ার দু'নম্বর লেনে একই বাড়ির দুটি ঘরে আত্মহত্যা করেছেন মা ও ছেলে।দুজনেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী সংসারের টুকিটাকি বিষয় নিয়ে অশান্তি হচ্ছিল মা মায়ারানি দেবীর সঙ্গে ছেলে নিরঞ্জনের।মায়ারানী হালদার (54) স্থানীয় একটি মিড ডে মিলে রান্নার কাজ করতেন।তার ছেলে নিরঞ্জন হালদারের (28) একটি মোটর সাইকেল গ্যারেজ আছে।
চার বছর আগে বিয়ে হয় নিরঞ্জনের।তার স্ত্রী দক্ষিণ দিনাজপুরের ডুমডুমি গ্রামের বাসিন্দা বাসনা রাজবংশী।বিয়ের পর থেকে সুখে ঘর সংসার করছিলেন নিরঞ্জন এবং বাসনা, অশান্তির সূত্রপাত হয় এক মাস আগে।বাসনার বাড়ি থেকে তার বাবার অসুস্থতার খবর আসলে নিরঞ্জন তার স্ত্রীকে নিয়ে গিয়ে বাপের বাড়িতে রেখে আসেন।ছেলের সঙ্গে বৌ বাড়ি না ফেরায় মায়ের সঙ্গে অশান্তি শুরু হয়।প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি না ফেরার পর থেকেই মা ছেলেকে অশান্তি লেগে থাকত।শুক্রবার মায়ারানী দেবী স্কুলে না যাওয়ায় স্কুল থেকে খোঁজ নিতে এসে দেখা যায় যে তিনি গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছেন, তার পাশের ঘর থেকে উদ্ধার করা হয় ঝুলন্ত অবস্থায় তার ছেলের মৃতদেহ।
No comments:
Post a comment