ক্লাস টেনের মেয়েটি গিয়েছিল তার প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে।কিন্তু সেখানে গিয়ে প্রেমিক এবং তার চার বন্ধুর দ্বারা গণধর্ষণের শিকার হয় সে।বাড়ি ফেরার পর লজ্জায় অপমানে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করে মেয়েটি।
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে যে কলকাতার বাসিন্দা ক্লাস টেনের ছাত্রী সেই মেয়েটির প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে পূর্ব মেদিনীপুরের একটি গ্রামে গিয়েছিল।সেখানে তার প্রেমিক তাকে একটি মাঠে নিয়ে যায় কথা বলার জন্য কিন্তু সেখানে যাবার পর মেয়েটি দেখতে পায় ছেলেটি এবং তার চার বন্ধু সেখানে উপস্থিত।এরপর তারা মেয়েটিকে ধর্ষণ করে এবং পুরো ঘটনাটির ভিডিও করে রাখে।মেয়েটির প্রেমিক এবং তার বন্ধুরা তাকে হুমকি দেয় যে এই ঘটনার কথা কাউকে জানালে তার ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
কিন্তু মেয়েটি বাড়ি ফিরে তার বাবা-মাকে সমস্ত ঘটনা খুলে বলে। বাবা-মা তৎক্ষণাৎ মেয়েটির উপর হওয়া অত্যাচারের প্রতিকার করতে থানায় গিয়ে তার প্রেমিক এবং চার বন্ধুর নামে এফআইআর করে কিন্তু ততক্ষণে মেয়েটি কীটনাশক খায়।
এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর এই মেয়েটিকে দ্রুত এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।মেয়েটির মৃত্যুর পর তার বাবা-মা পুলিশের দ্বিতীয় অভিযোগ করে মেয়েটিকে মৃত্যুর প্ররোচনা দেবার জন্য।পুলিশ তাদের অভিযোগ পেয়ে তদন্তের নামে এবং একে একে পুলিশের জালে চার বন্ধু ধরা পড়ে তাদের মধ্যে একজন নাবালক।
নাবালক ছেলেটিকে ওয়েলফেয়ার হোমে পাঠানো হয়েছে পুলিশের জেরায় ধৃতরা স্বীকার করে যে তারা মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছে এবং ভিডিও করে রেখেছে।যদিও ঘটনার মূল অভিযুক্ত মেয়েটির প্রেমিক এখনো পলাতক।তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে কলকাতা এবং পূর্ব মেদিনীপুর পুলিশ।
No comments:
Post a comment